সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে নতুন ভোটারদের স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু গত ৪ বছরেও তা দিতে পারেনি ইসি।
তাই ওইসব নাগরিকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আপাতত লেমিনেটেড এনআইডি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। পরবর্তীতে তাদেরকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে।
ইসি সূত্র জানায়, কোটি নাগরিককে এনআইডি সরবরাহ করতে আঞ্চলিক কার্যালয়ে ১০টি মেশিন বসানো হবে। এরপর ছাপিয়ে সেখান থেকেই বিতরণে যাবে কমিশন। এর মাধ্যমে এনআইডি সেবা বিকেন্দ্রীকরণে আরেকটি মাত্রা যোগ হবে।
বর্তমানে বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে ভোটার স্থানান্তর-সংশোধনের আবেদন উপজেলা পর্যায়েই নেওয়া হয়। শুনানি বা তদন্ত শেষে সেখান থেকেই আবেদনের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তবে এনআইডি ছাপানো হয় ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে।
চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা ও ফরিদপুরে নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় রয়েছে। এসব আঞ্চলিক কার্যালয়েই বসবে প্রিন্টার। নাগরিকদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর সেখানে থেকেই প্রয়োজনে ঢাকার অনুমতি নিয়ে ছাপিয়ে সরবরাহ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে আবেদন করতে হবে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের মাধ্যমেই। সবকিছু ঠিক থাকলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে এনআইডি ছাপানোর ব্যবস্থা নেবেন। তবে এটি কেবল লেমিনেটেড এনআইডির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। স্মার্টকার্ড ঢাকা থেকেই সরবরাহ করা হবে।
বর্তমানে নতুন ওইসব ভোটার ছাড়াও স্থানান্তর কিংবা সংশোধনের অসংখ্য আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সেবাটি চালু হলে নাগরিকদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছে ইসি।
** মামলার মুখে স্মার্টকার্ডে ব্যর্থ ফরাসি কোম্পানি
ইসি’র এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কমিশন আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে লেমিনেটেড এনআইডি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনো নির্দেশনা আসেনি। হয়তো আরো দুই মাসের মতো সময় লেগে যাবে। এর মধ্যে যারা আগে ভোটার হয়েছেন, কিন্তু এনআইডি পাননি, তারা জরুরি আবেদন করেও এনআইডি নিতে পারবেন।
স্মার্টকার্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার পর্যাপ্ত মেশিন নেই। তাই সারাদেশে একযোগে স্মার্টকার্ড সরবরাহ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে মেশিন কেনার আইনি জটিলতা এখন আর নেই। শিগগিরই টেন্ডার দিয়ে মেশিনগুলো কিনবো। এরপর সকলকেই স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। প্রয়োজনে সরকারের তহবিল থেকেই অর্থের সংস্থান করা হবে’।
‘স্মার্টকার্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অবার্থার চুক্তির শর্ত পূরণ করেনি। তাই তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। ইতোমধ্যে তাদেরকে ক্ষতিপূরণসহ সবকিছু বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। চুক্তি অনুসারে তারা আমাদের চাহিদা ও দাবি পূরণ না করলে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর