নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে একসঙ্গে তিন বছরের অর্থাৎ ২০১৮ সালে যারা ভোটার হবেন তাদের তথ্যও সংগ্রহ করে ইসি। সেসময় দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভোটার বৃদ্ধির হার ধরা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরুর আগে নির্বাচন কমিশন ওই অবশিষ্ট অর্থাৎ ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করে। এজন্য ব্যয় ধরা হয় ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৬ টাকা। এরমধ্যে আবার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, আপ্যায়ন ইত্যাদির জন্যই ব্যয় ধরা হয় ২০ কোটি বেশি। এরপরও ফের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি সংস্থাটি।
৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় মোট ৩৫ লাখ ভোটার অন্তর্ভুক্ত করার হিসেব দিয়েছিল ইসি। কিন্তু গত ৯ আগস্ট বাড়িবাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শেষে ইসি সচিব জানিয়েছেন, মোট ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩১ জনের ভোটার হওয়ার আবেদন পাওয়া গেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অন্তত ১০ লাখ কম।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা এজন্য কম সময় দেওয়াকেই দায়ী করেছেন। এছাড়া বন্যাও একটা অন্তরায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে বাড়িবাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ২৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার সময় দেওয়া হয় গত ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত, কেবল ১৬ দিন।
এসব বিষয়ে ইসি সচিব বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িবাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলেও এখনও রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আগামী ২০ আগস্ট থেকে মোট ৭২ দিন তিন ধাপে রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে যাদের তথ্য নেওয়া হবে, তাদের ছবি তুলে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। সে সময় বাদ পড়া ভোটাররাও ভোটার হতে পারবেন।
**ভোটার হালনাগাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা!
** প্রতিজন ভোটার করতে ব্যয় ১৪৪ টাকার বেশি
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
ইইউডি/আইএ/