বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে প্রশ্নত্তোর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ইসির সিদ্ধান্তে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের সংলাপে শুধুই আলোচনা হবে। নির্বাচনে কারো আসা-না আসার বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না।
আমরা যে ডায়ালগ করবো পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে, এটা শুধু ডায়ালগ। তাদের কথা শুনব, আমাদের কথা তারা শুনবে। কে আসবে না আসবে তা নিয়ে আমাদের কোনো ইস্যু থাকবে না, যোগ করেন তিনি।
চাপের মুখে পড়লে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটার সুযোগ নেই। কারো কাছে যদি আমরা আত্ম সমর্পণ করি তাহলে এটা আমাদের দুর্বলতা। এটা আমরা করবো না। কারণ, আমাদের কারো কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, ইসি ‘সম্পূর্ণ স্বাধীন’ ও ইসির পরিচিতি হচ্ছে- ‘স্বাধীন সত্তা’। সেখানে আমাদের কোনো চাপের মুখে পড়ার প্রয়োজন নেই। সে চাপের মুখে পড়বো না। এ যদি আমাদের শপথ থাকে, এটা যদি আমাদের অঙ্গীকার থাকে- তাহলে চাপের মুখে আমরা কখনো কম্প্রমাইজ করবো না, নত স্বীকার করবো না। ইটস্ এনাফ, আর কোথাও যেতে হবে না। এবার আর কোথাও যাব না, এটা আমার অঙ্গীকার। এজন্যে আপনাদের সাক্ষী রেখেই একথাগুলো বলছি।
সব দলকে নির্বাচনে আনতে ‘মধ্যস্থতার’ ভূমিকা নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমার মনে হয় না। আমি নিতে চাই না।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি একমত না। আমি নির্বাচন করবো। আমরা সবাই ভুলে যাই- অনেক আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক মেডিয়েটর এসে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে সমাঝোতায় আসতে পারে নি। সেখানে আমি কেন চাইবো সে রিস্ক নেওয়ার জন্যে, অযথা সময় নষ্ট করার জন্যে? এটা আমার কাজ না। ভেরি ফার্মলি-এটা আমার কাজ না।
সকাল সাড়ে ১০টার থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিইসি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে গণমাধ্যমের ২৪ প্রতিনিধি অংশ নেন। এতে তারা ২০ ধরনের সুপারিশ তুলে ধরেন।
**নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিতের তাগিদ গণমাধ্যমের
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ