তাই সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অন্যতম চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভূক্তি ঠেকানো।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটার হয়েই রোহিঙ্গারা ক্ষান্ত হন না।
ইসি’র উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভূক্তি সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নে বড় চ্যালেঞ্জ। এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে তাদের অনু্প্রবেশ ঠেকানো। অন্যথায় তারা স্থানীয় ব্যক্তিদের বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ভোটার হয়ে যান।
যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে ওই এলাকার ভোটার হতে বিশেষ ফরম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের সব ধরনের ব্যবস্থা করে দেন। স্থানীয়দের বিয়ে করে সহজেই পরিচিতিও পেয়ে যান তারা। তখন ভোটার হতেও তেমন সমস্যা হয় না।
ইসি’র সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছরই ভোটার তালিকায় হাজারে হাজারে রোহিঙ্গা অন্তর্ভূক্ত হন। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভোটারকে চিহ্নিত করতে পেরে তালিকা থেকে নাম কেটে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমেও তাদের ভোটার হওয়ার বেশ শঙ্কা রয়ে গেছে।
তাই কোনোভাবেই যেন রোহিঙ্গারা ভোটার হতে না পারেন, সেজন্য এবার ‘বিশেষ’ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। আগামী শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠকটি ডাকা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় ইসি’র সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিবের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে প্রধান অতিথি থাকবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকও উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বিজিবি’র চট্টগ্রামের রিজিওনাল কমান্ডার, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং বিজিবি’র কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডারকেও উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৈঠকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই নির্দেশনার অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এতে ০৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেন ইসি নিয়োজিত সুপারভাইজাররা। ১৬ দিনে প্রায় ২৫ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। বর্তমানে ওইসব নাগরিকের ছবি তুলে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ০৫ নভেম্বর পর্যন্ত এ কাজ চলবে।
বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ১৭ লাখের মতো ভোটার রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর