নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে এসে এমন প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টা থেকে সিইসি কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে ইসির সভাকক্ষে শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ৪টার দিকে।
সংলাপ শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সংবাদিকদের বলেন, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রধান দাবিই হচ্ছে জাতীয় পরিষদ গঠন করে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এছাড়া ইসির আইনি কাঠামো সংস্কারের প্রস্তাবও দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনের সময় তারা ইসির অধীনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কেও আনার প্রস্তাব করেছেন।
বর্তমানে ভোটার করা হয় বর্তমান ঠিকানায়। কিন্তু এটা স্থায়ী ঠিকানায় করার পক্ষে তারা মতামত দিয়েছে।
হেলালুদ্দীন জানান, দলটির পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার না করা, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করার প্রতিও জোর দিয়েছেন।
অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা দাবি জানিয়েছেন ইসির জনবল বাড়ানোর।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ ছিল। কিন্তু দলটি ত্রাণ কার্যক্রমের কথা বলে সংলাপে আসার অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তাদের সুবিধা-অসুবিধা থাকতে পারে। তবে তারা একমাস সময় চেয়েছে। সময় দেওয়া হবে কিনা, তা কমিশন বিবেচনা করবে। মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লাইস মুন্নার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি সংলাপে বক্তব্য রেখেছেন। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। এরপর ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ করে সংস্থাটি। বর্তমানে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়েছে। ২৮ আগস্ট সকালে ১১টায় বাংলাদেশ মুসলীম লীগ ও বিকেল ৩টায় খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ সেপ্টেম্বরের পুরোটা ধারাবাহিকভাবে চলবে। এরপর এনজিও, নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বসবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ