এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনটি ১৯৭৬ সালের অর্ডিন্যান্স। এটি বাংলায় করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে গঠিত সীমানা পুনর্র্নিধারণ সংক্রান্ত কমিটি একটি খসড়া রোববার (২৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করেছেন। এতে সংসদীয় আসন জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, প্রশাসনিক অখণ্ডতা ও আয়তন; এ চারটি বিষয়ের ভিত্তি এবং সমতা বজায় রেখে করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে এ প্রস্তাবের ওপর এখন অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার মতামত দেবেন। এরপর এটি আইন মন্ত্রণালয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। আর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরেই সীমানা পুনর্র্নিধারণের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
আইনের খসড়ায় দু’টি পর্যায়ে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ করার কথা বলা হয়েছে। আইনের ধারা ৬ এ বলা হয়েছে-ক) আসনগুলো ভোটার সংখ্যা এবং জনসংখ্যার সম বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথমে জেলা পর্যায়ে বণ্টন এবং খ) বণ্টনের পর জেলাগুলোতে বরাদ্দ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ। এক্ষেত্রে সর্বশেষ আদমশুমারির ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশের এক বছরের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। আর প্রকাশের আগে ভোটের তফসিল হলে নির্বাচন পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ করতে হবে।
এদিকে ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স, ১৯৭৬’ রহিত করে বাংলায় প্রণীত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০১৭’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইন সংশোধন হয়ে গেলে তার ভিত্তিতে আবার বিধিমালা করবে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় সংসদের ৩শ’টি আসন রয়েছে। ২০১৩ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নির্বাচন কমিশন অর্ধশতাধিক আসনের সীমানায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলো। এ নিয়ে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের অনেক আপত্তি রয়েছে। এরইমধ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ পূর্ববর্তী সীমানায় ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে চলমান সংলাপে অংশ নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা সীমানা পুনর্র্নিধারণে বড় আকারে কোনো পরিবর্তন না আনার সুপারিশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস