সোমবার (২৮ আগস্ট) ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতারা এসব সুপারিশ করেন।
দলের সভাপতি ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান খানের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপ থেকে বেরিয়ে কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তারা ১১ দফা সুপারিশ করেছেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের একমাস আগে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামাতে হবে এবং নির্বাচনের পরে ১৫ দিনে মাঠে থাকবে।
নির্বাচনের তিন মাস আগে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তবে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে তাদের কোনো দাবি নেই।
নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে পুলিং এজেন্টের স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখেই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে মন্ত্রিপরিষদের পদত্যাগের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবিও জানিয়েছে দলটি।
এছাড়া প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সম্পূর্ণ দল নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনের এক বছর আগে থেকে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, প্রত্যেক নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও অবৈধ, কালো টাকা এবং পেশি শক্তির ব্যবহার কঠির হস্তে দমন করার সুপারিশও করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
অন্যদিকে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানো থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বিরত রাখা এবং প্রত্যেক দলকে সরকারি সুবিধা ব্যবহার করে সমান নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছে তারা।
সংলাপ সোয়া ১১টার দিকে শুরু হয়ে দুপুর একটার দিকে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
ইইউডি/বিএস