ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

অস্থায়ী সরকারের অধীনে সেনা মোতায়েনে নির্বাচনের সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
অস্থায়ী সরকারের অধীনে সেনা মোতায়েনে নির্বাচনের সুপারিশ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে অস্থায়ী সরকার গঠন এবং সেনা মোতায়েন করে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার সুপারিশ এসেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।

সংস্থাটির সঙ্গে সংলাপে বসে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এসব সুপারিশ করে। সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য মোট ১৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে দলটি।


 
ইসির সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে দলটির মহাসচিব মওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
 
সংলাপ শেষে মওলানা মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে অস্থায়ী সরকারের অধীনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করাসহ আমরা ১৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনা, নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে নির্বাচন পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সেনা মোতায়েন রাখা, কালো টাকা ও পেশী শক্তির ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ধর্ম ও স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল, অনলাইনে মনোনয়ন জমা, সবার জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ।
 
এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা, একই পোস্টারে সব প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মঞ্চে সব প্রার্থীর কক্তব্য রাখার ব্যবস্থা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আইনের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করার জন্য একজন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা।
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দাবির প্রায় ৮০ শতাংশ নির্বাচন কমিশনের মতের সঙ্গে মিলেছে বলে কমিশন আমাদের জানিয়েছে।
 
এদিকে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তাদের দাবিগুলো শুনেছি। রাজনৈতিক যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন উদ্যোগ নিতে পারে। তবে পুরো সংলাপ শেষ হলে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
 
তিনি বলেন, কিছু বিষয় আছে যেগুলো সরকারের এখতিয়ার। কিছু বিষয় আছে যেগুলো ইসির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। আমরা সংলাপে আসা বিষয়গুলো সরকারকে অনুরোধপত্রের মাধ্যমে জানাতে পারবো। অক্টোবরের মধ্যেই সংলাপ শেষ করা হবে।
 
সংলাপে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
এ নিয়ে মোট আটটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন করলো নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গেও সংলাপে বসার কথা ছিল ইসির। কিন্তু দলটির প্রেসিডেন্ট অসুস্থ থাকায় তারা এখন সংলাপে আসতে পারছে না বলে জানায়। একই সঙ্গে তারা পরবর্তীতে সময় চেয়ে আবেদন করেছে। এর আগে বন্যায় ত্রাণ কার‌্যক্রমের কারণে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট সংলাপে নির্ধারিত সময়ে অংশ নিতে পারেনি। এ দলটিও পরবর্তীতে সময় দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের আবেদন জানিয়েছে।
 
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করে সংস্থাটি।
 
 বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।