বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইসির সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি প্রতীক) এবং বিকেল ৩টায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার প্রতীক) এর সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন (চাবি), বিকেল ৩ টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে (কাঁঠাল) ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী), বিকেল ৩ টায় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপিকে (বাঘ) সময় দিয়েছে ইসি।
২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় গণফ্রন্ট (মাছ), বিকেল ৩ টায় গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) এবং ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুর গাছ) ও বিকেল ৩ টায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে-এনপিপিকে (আম) ডেকেছে সংস্থাটি।
এ পর্যন্ত আটটি দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট সংলাপে নির্ধারিত সময়ে অংশ না নিয়ে পরবর্তীতে সময় দিতে ইসির কাছে আবেদন করেছে।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপে এ পর্যন্ত কয়েক ডজন সুপারিশ এসেছে। সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটাধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া প্রভৃতি ছিলো সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
ইইউডি/আরআই