ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএমের ইতি, স্মার্টকার্ডের জন্য নতুন প্রকল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
ইভিএমের ইতি, স্মার্টকার্ডের জন্য নতুন প্রকল্প ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনগুলো (ইভিএম) এবার নষ্ট করে ফেলার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলানিউজকে জানান, একটি ইভিএম মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ভোটযন্ত্রটি ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে মেশিনের ত্রুটির কারণ উদঘাটন ও সমস্যা সমাধান করা যায়নি।

ফলে পড়ে থাকা মেশিনগুলো অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় নষ্ট করে ফেলার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।

এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন অকার্যকর ইভিএমগুলো নিয়ে করণীয় চূড়ান্ত করতে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ইভিএমগুলো নষ্ট করা হবে।

এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০১০ সালে প্রায় বারো শত ইভিএম বুয়েট এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে কিনেছিলো। মূলত এটি ছিলো বুয়েটের তৈরি করে দেওয়া প্রজেক্ট। কিন্তু ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের সময় একটি মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়ায় সেই থেকে এর ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। এমনকি ওই মেশিনটির ত্রুটির কারণও নির্ণয় করা যায়নি। ফলে এটি আর এখন ব্যবহার হচ্ছে না।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে এটি প্রায় নিশ্চিত। তবে আগামীতে ইভিএমের পরিবর্তে ডিভিএম (ডিজিটাল ভোটিং মেশিন) ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়েও একটি টেকনিক্যাল কমিটি কাজ শুরু করেছে।

এদিকে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড দেশের সব নাগরিকদের হাতে পৌঁছে দিতে ১ হাজার ৬১২ কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কেননা আগের নেওয়া প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। আর বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াবে না।

‘ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচিতি সেবা প্রদানে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক নতুন এই প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ, ডাটাবেজ হালনাগাদকরণ, নিবন্ধিত এবং নিবন্ধনযোগ্য নাগরিকদের দশ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ গ্রহণের মাধ্যমে ডাটাবেজ শক্তিশালীকরণসহ প্রভৃতি কার্য্যক্রম সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। প্রকল্পের জনবল দেখানো হয়েছে ২ হাজার ২৪ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
ইইউডি/এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।