ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বিষটি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ সংলাপ।
২২ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করা হবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ সবগুলোর দলের সংলাপ। ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. হেলালুদ্দীন জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে ৯ অক্টোবর, বিএনপির সঙ্গে ১৫ অক্টোবর ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৮ অক্টোবর বসবে কমিশন।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলো ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
সংলাপে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম।
ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, দল ও বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ থেকে যে সুপারিশগুলো আসবে, তা সরকারের কাছে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে যে দায়িত্বগুলো ইসির ওপর বর্তাবে তা ইসি সংবিধানের আলোকে প্রাপ্ত ক্ষমতা অনুযায়ী পালন করবে। আর কিছু প্রস্তাব আছে যা রাজনৈতিক, সেগুলোর রাজনৈতিকভাবেই সরকার বিবেচনা করবে।
নির্বাচন কমিশন সংলাপ থেকে আসা সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের আসনগুলোর সীমানা পুনর্নিধারণ, আইন সংস্কার, ভোট ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছেন, শেষ পর্যন্ত সংলাপের সফলতা নিয়ে। তাদের মতে, সংলাপের সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করবে প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ওপর। তাদের প্রস্তাবগুলো আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন কতোটা নিরপেক্ষ আচরণ করবে, তাই এখন দেখার বিষয়।
ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে এ সংলাপকে আইওয়াশ হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদসহ অনেক নেতাই এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে রেখেছেন।
তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন, তারা তাদের দায়িত্ব সংবিধানের আলোকেই পালন করবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করার এখতিয়ারও তাদের নেই। কাজেই রাজনৈতিক সমস্যাগুলো রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে নির্বাচন কমিশনকে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, বিভিন্ন আইন সংস্কার এবং সীমানা নির্ধারণের কাজগুলো শেষ করতে হবে।
** ইসির সংলাপ ‘আইওয়াশ’
**আ’লীগ-বিএনপির সঙ্গে অক্টোবরে সংলাপে বসতে চায় ইসি
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
ইইউডি