সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আগামী ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে আইডিইএ, যার মাধ্যমে বিতরণ চলছে স্মার্টকার্ড।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্পটিতে আইডিইএ প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টারদের প্রোগ্রামার ও সহকারী প্রোগ্রামার পদে পদায়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এদের আইডিইএ প্রকল্পে নেওয়া হয়েছিল রাজস্ব খাতের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদমার্যাদার সমমান হিসেবে।
নতুন প্রকল্পে এদের প্রোগ্রামার ও সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে এবং পাঁচ বছর তাদের রাজস্বখাতে আনা হলে প্রথম শ্রেণি কর্মকর্তার নিয়োগ পরিপন্থি হবে। এছাড়া ২০০৫ সালে যারা সহকারী সচিব এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তারা এদের জুনিয়ার হয়ে যাবেন। কেননা, বর্তমানে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট/সাপোর্টার পদটি ১০ম গ্রেডের। আর প্রোগ্রামার পদটি ষষ্ঠ গ্রেডের।
এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীরা রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইসির অতিরিক্ত সচিবের কাছে চার দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নতুন প্রকল্পটি রাজস্ব খাতে নেওয়া যাবে না, নতুন প্রকল্পে ১০ম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ থেকে কাউকে আইডিইএ প্রকল্প থেকে নেওয়া যাবে না, নতুন প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন করতে হবে এবং এরাই ভবিষ্যতে স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করবে, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট/সাপোর্টারদের মানবিক বিবেচনায় সর্বোচ্চ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা যাবে।
এর আগে ইসির উপ-সচিব নুরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মকর্তারা সভাকক্ষে বৈঠক করেন।
উপ-সচিব নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকতে না পারায় কোনো ঘোষণা আসেনি। এ বিষয়ে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দাবি না মানা হলে প্রাথমিকভাবে প্রথমে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি এবং পরবর্তীতে মাঠ পর্যায়েও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ