ইসি সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ এ সিটি নির্বাচন হয়েছিল ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্রথম সভা হয়েছে ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ।
এ সিটিতে মেয়র পদে জয়লাভ করে দায়িত্ব পালন করছেন শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।
ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, স্কুল, কলেজের পরীক্ষা, ক্লাস শুরু ইত্যাদি বিবেচনায় ইসি সচিবালয় চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত সময় মনে করছে। তবে সিদ্ধান্ত আসবে নির্বাচন কমিশনের সুচিন্তিত মতামত থেকে। কর্মকর্তারা বলছেন, রসিক নির্বাচনের প্রস্তুতি তারা এগিয়ে নিচ্ছেন। এরইমধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি প্রক্রিয়াধীন রেখেছেন তারা।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আগামী নভেম্বরে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে চূড়ান্ত সময়সূচির সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।
সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে ওই করপোরেশন গঠনের পর প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। যেহেতু রসিকের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ, সেহেতু সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ। তাই ১৮ মার্চের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনটি সম্পন্ন করতে হবে।
৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এ সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার রয়েছেন ৪ লাখের মতো। এবার এ সিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস