ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নির্বাচনের বাইরে রাখার সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৭
মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নির্বাচনের বাইরে রাখার সুপারিশ সংলাপ শেষে ব্রিফ করেন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এসব পরামর্শ দেয় দলটি। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সংলাপে অংশ নেন।

সংলাপ শেষে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১২টি প্রস্তাবনা দিয়েছি আমরা’।

সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের সময় কোনো অপশক্তি যেন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করতে না পারে এবং জনগণের মালামাল ও নিরাপত্তা গ্রহণে ইসি’র তত্ত্বাবধানে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা।

নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা, ভোটগ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি চালু, রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না হতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছে দলটি।

অন্য সুপারিশগুলো হলো- নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শিক দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, তফসিল ঘোষণার ৬০ দিন আগে ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ইত্যাদি।

বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে সংলাপের কথা থাকলেও দলের চেয়ারম্যানের মা অসুস্থ থাকায় তারা সংলাপে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ইসিকে। পরবর্তীতে সময় দেওয়ার জন্যও বলেছে দলটি। বিশ দলীয় জোটের শরিক বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ তার মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-মই), বিকেল ৩টায় জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) এবং আগামী ০৮ অক্টোবর বেলা ১১টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-তারা) ও বিকেল ৩টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-মশাল) সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন।

এরপর ০৯ অক্টোবর জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), ১৫ অক্টোবর বিএনপি (ধানের শীষ) এবং ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।

এ পর্যন্ত সংলাপে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটাধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসি’র অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ