এরই মধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ৩০টি উপজেলায় স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে সহায়তা করছেন। এরই মধ্যে এমন অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিশেষ স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বেশ কিছু এলাকাকে চিহ্নিত করেছে। এসব এলাকার মধ্যে আছে:
কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া; রাঙামাটির ১০টি উপজেলার রাঙামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি,কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি; চট্টগ্রামের ১৬টি উপজেলার মধ্যে বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ,সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী উপজেলা।
এসব উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে বিশেষ কমিটিও গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া কঠিন করা হয়েছে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াও। এরপরও রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ বিভিন্ন অপকৌশলে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেতে পারে আশংকা করছে সংস্থাটি। আর তাই যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের ফরমগুলো যাচাই-বাছাই করতে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ‘বিশেষ এলাকা’ সমূহে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই আরো নিখুঁত ও নির্ভুল করতে হবে। এজন্য বিশেষ কমিটির সদস্যদের নিয়ে কর্মশালায় আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৭ ও ৮ অক্টোবর দু’দিনের এই প্রশিক্ষণে কিভাবে বিদেশি বা রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা যায়, মূলত তাই শেখানো হবে। এক্ষেত্রে ৭ অক্টোবর ৮৯ জন কর্মকর্তা আর ৮ অক্টোবর ১২১ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে। এতে সুপারভাইজিং প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
ইইউডি/জেএম