ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দশম সংসদের সীমানায় আগামী নির্বাচন চায় জাসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
দশম সংসদের সীমানায় আগামী নির্বাচন চায় জাসদ

ঢাকা: নতুন করে আদমশুমারি প্রতিবেদন না হওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিপক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ। এজন্য দশম সংসদ আসনের সীমানায় আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন চায় দলটি।
 

রোববার (০৮ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করেছে জাসদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।


 
জাসদের সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইভিএম ব্যবহার, অনলাইনে মনোনয়ন, প্রচারে দলকে অনুদান, স্বতন্ত্র প্রার্থিতার জন্য ১ শতাংশ সমর্থন বাতিল, জামায়াতের কেউ যেন বিএনপি বা অন্য দলের হয়ে ভোটে অংশ নিতে নিষেধাজ্ঞা, সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করা, ‘জাসদের’ নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য কোনো নামে নতুন দল নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
 
দলটির পক্ষ থেকে লিখিত সুপারিশে বলা হয়েছে- জাসদের পরে জেএসডি নামে দল নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বা কাছাকাছি নামে কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়া যাবে না।
 
জাসদের অন্য সুপরিশগুলো হচ্ছে- নিবন্ধিত দলকে ব্যয় নির্বাহে ও প্রচারণায় নিয়মিত অনুদান, দলের অনুদান আয়করমুক্ত করা, ভোটে কালো টাকার ব্যবহার রোধে প্রার্থিতা বাতিল, জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করা, স্থানীয় ও সংসদ নির্বাচনে স্বপদে থেকে নির্বাচন করায় অযোগ্যতা বিধান, পাবলিক ও বেসরকারি থেকে অবসরের পর ভোটে অংশ নেওয়ার শর্ত শিথিল করা, প্রতীক বরাদ্দের দিনই জোটভুক্তদের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ রাখা ও নির্বাচন আর্কাইভ স্থাপন।
 
এদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জেএসডি সংলাপে অংশ নিয়ে ১৪ দফা সুপারিশ করেছে। দলটির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
 
জেএসডি’র লিখিত সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন, তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, ইসির স্বাধীন ভূমিকা নিশ্চিত, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, না ভোটের বিধান চালু, তিন মাস আগে মামলা নিষ্পত্তি, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি, সব ভোটারদের এনআইডি কার্ড সরবরাহ, দলের অঙ্গ সংগঠন না থাকার বিধান কার্যকর, সব প্রার্থীকে এক মঞ্চে প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।
 
সংলাপ থেকে বেরিয়ে আ স ম রব সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলে রাষ্ট্র বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এমনিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা সংকটে পড়ে গেছি। ভোটারবিহীন নির্বাচন সে সংকটকে আরও উসকে দেবে। কাজেই রোহিঙ্গা ইস্যু যেন নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য উপ-আঞ্চলিক জোট গঠনের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
 
৯ অক্টোবর (সোমবার) জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) সঙ্গে সংলাপ রয়েছে ইসির।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।