বুধবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে দলটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে দলটির সভাপতি রাশেদ খানের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
সংলাপ থেকে বেরিয়ে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত করার কথা বলেছি। এক্ষেত্রে তারা কেবল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তাকারী হিসেবে থাকবে। তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে রাখার কোনো অবকাশ নেই। কেননা, আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা ভালো নয়।
তিনি বলেন, কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। আর ইসির অধীনে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আনতে হবে।
বর্তমান সরকারের এ বিমানমন্ত্রী বলেন, আমরা সুপারিশ করেছি- স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দলের নিবন্ধন বাতিল করে যেন নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়। এছাড়া রোহিঙ্গাদের যারা ভোটার হয়েছে, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং যারা না হয়েছে তারা যেন অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এই মেশিনে নির্বাচন করা যায় এজন্য দু'একটি কেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য বলেছি।
ইসির কাছে লিখিত ১৪টি সুপারিশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- জামানত কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রার্থীর বদলে দলকে ভোটদানের ব্যবস্থাকরা, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন বিধান বাতিল, ক্ষেত্র বিশেষে জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, আয়তন, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও প্রশাসনিক সুবিধা অনুসারে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ফৌজদারি দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের নির্বাচনের অযোগ্য করা প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ