ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি’র (কাস্তে) সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। আর বিকেল তিনটায় গণতন্ত্রী পার্টির (কবুতর) সঙ্গে বসবে নির্বাচন কমিশন।
গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের (সুশীল সমাজের) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। যা ধারাবাহিকভাবে চলছে।
ক্রমানুসারে চলমান ধারাবাহিক এই সংলাপে এ পর্যন্ত বিভিন্ন পরামর্শ, সুপারিশ ও দাবি উঠে এসেছে। এসবের মধ্যে আছে: সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সেনা মোতায়েন, বর্তমান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি/ক্যামেরা স্থাপন, ‘না-ভোট’ প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগের বিধান, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্বাচনকালীন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধানটি তুলে নেওয়া ইত্যাদি।
আগামী ১৫ অক্টোবর বিএনপি (ধানের শীষ) এবং ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী এই কর্তৃপক্ষটি।
এবারের সংলাপ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। এক্ষেত্রে ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে, ২৩ অক্টোবর নারীনেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়:১৮৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
ইইউডি/জেএম