বিএনপি সরকারের আমলে (২০০১-২০০৭) নিয়োগ দেওয়া সেই আজিজ কমিশন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। ওই কমিশনের বিরুদ্ধে এক কোটি ভূয়া ভোটার করার অভিযোগে আন্দোলনে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
সাবেকদের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ক্যাটাগরিতে ডাকা হয়েছে। সংলাপে তাদের আমন্ত্রণের চিঠির অনুলিপি বাংলানিউজের হাতে রয়েছে।
আওয়ামী লীগের আন্দোলনের পর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। ২১ জানুয়ারি সিইসি এম এ আজিজ এবং ৩১ জানুয়ারি বাকি পাঁচ কমিশনার পদত্যাগ করেন।
আগামী ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সংলাপে অংশ নেওয়ার সময় নির্ধারণ করেছে ইসি, যেখানে আজিজ কমিশনও তালিকায় রয়েছে।
আমন্ত্রিতরা হলেন- সিইসি বিচারপতি এমএ আজিজ, বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, মোহাম্মদ আবু হেনা, বিচারপতি এম এ আজিজ, এটিএম শামসুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
আমন্ত্রিণ নির্বাচন কমিশনাররা হলেন- সম জাকারিয়া, মাহমুদ হাসান মনসুর, মুদাব্বির হোসেন চৌধুরী এবং মো. সাইফুল আলম (এরা আজিজ কমিশনের সদস্য), এমএম মুনসেফ আলী, এ কে মোহাম্মদ আলী, স ম জাকারিয়া, মো. সাইফুল আলম, মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী, মাহমুদ হাসান মনসুর, মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ।
এদিকে ২২ নারী নেত্রীকে সংলাপে ডেকেছে ইসি। তারা হলেন- হামিদা হোসেন, রোকেয়া কবির, আয়েশা খানম, সেলিনা হোসেন, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অ্যারোমা দত্ত, সেলিনা আহমেদ, সালমা আলী, মনিরা রহমান, অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম, ওয়াহিদা বানু, সালমা খান, ফরিদা ইয়াসমিন, রেহানা সামদানী, রোকেয়া রফিক, পারভীন সুলতানা ঝুমা, মাহবুবা বেগম, রেহানা সিদ্দিকী, মাসহুদা খাতুন শেফালী, শাহীন আক্তার ডলি, শার্মিনা জামান ও মনসুরা আক্তার। ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠি হবে।
সংলাপে আমন্ত্রিত ৩৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধানরা হলেন- মো. সামসুল হক, প্রকৌশলী শেখ আল আমিন, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, শাহজাহান গাজী, মো. হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী, শারমিন মুর্শিদ, আনোয়ার হোসেন, এএনএম ইমাম হাসনাত, সাইফুল ইসলাম দিলদার, কামরুল হাসান মঞ্জু, শেখ আবদুল মালেক, তালেয়া রহমান, মুনিরা খানম, মিজানুর রহমান, এএইচএম নোমান, নোমান আহমেদ খান, রেজাউল করিম চৌধুরী, রোখসানা খন্দকার, মো. আব্দুল আলীম, শফিকুল ইসলাম, সাকিব আহমেদ বশার, স্বপন গুহ, বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, এসএম হারুন অর রশীদ লাল, শহীদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন খান, একে আরজু, শামিমা ইয়াসমিন, হারুন অর রশীদ, সেলিমা সারওয়ার, সরদার হুমায়ুন কবির, এনজেলা গোমেজ, খন্দকার আলমগীর হোসাইন। ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপে আসা এ পর্যন্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সেনা মোতায়েন, বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, প্রতি ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি/ক্যামেরা স্থাপন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, ‘না ভোট’ প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনকালীন ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া অন্যতম।
আগামী ১৫ অক্টোবর বিএনপি (ধানের শীষ) এবং ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী এই কর্তৃপক্ষ। এবারের সংলাপ শেষ হচ্ছে ২৪ অক্টোবর।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এসএইচ