রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে শনিবার (১৪ অক্টোবর) তিনি সংবাদিকদের কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।
তবে দলটির পক্ষ থেকে এখনও সংলাপে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন নেতা যখন ব্যক্তিগতভাবে ও আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, তখন তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিএনপির আস্থা রয়েছে। সে কারণেই তারা সংলাপে আসবে। যেহেতু তারা সংলাপে আসছে, আমি মনে করি অবশ্যই তারা নির্বাচনেও আসবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ঢাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়ে সিইসি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন। তবে অনেককে হয়তো বাড়িতে পাননি। এছাড়া আমাদের প্রচার প্রচারণায় কোনো ঘাটতি ছিল না।
প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার বিষয়ে কেএম নূরুল হুদা বলেন, প্রবাসীরা ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে নিবন্ধনসহ বাকি কার্যক্রম সশরীরে এসে করতে হবে। আর প্রবাসীরা যদি কেউ দেশে এসে ভোটার হতে চান, তাহলে তাদের দ্রুত ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কমিশন থেকে বিশেষ সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
স্মার্টকার্ড সরবরাহে বিলম্বের কারণ নিয়ে তিনি বলেন, স্মার্টকার্ড সরবরাহ করতে আইরিশ ও ফিঙ্গার প্রিন্টের প্রয়োজন হয়। এই ডিভাইসগুলো আমরা বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। আইনি জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা সেগুলো কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটা সম্পন্ন হলে সবাই স্মার্টকার্ড পাবেন। আগে কিংবা পরে, দেশের সব নাগরিককেই স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। তবে যারা ভোটার হলেও এখনও স্মার্টকার্ড পাননি, তাদের আপাদকালীন লেমিনেটিং করা কার্ড দেওয়া হবে।
এ সময় ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় ভোটার হালানাগাদে নিবন্ধনের কার্যক্রম ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
ইইউডি/এমএ