রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে তারা আগারগাঁওয়ের ইসি সচিবালয়ে যান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব সংলাপে উপস্থিত আছেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে আছেন- স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য এ এস এম আব্দুল হালিম, মো. ইসমাইল জবি উল্লাহ, আব্দুর রশীদ সরকার, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দলটির নেতা এমকে আনোয়ার এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইসিতে এসে পৌছাননি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নানা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপে আসা এ পর্যন্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সেনা মোতায়েন, বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, প্রতি ভোট কেন্দ্রে সিসি টিভি/ক্যামেরা স্থাপন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, ‘না ভোট’ প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া অন্যতম।
আগামী ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ।
এবারের সংলাপ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। এক্ষেত্রে ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীদের সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
ইইউডি/আরআইএস/ওএইচ/জেডএম