তার এ বক্তব্য মূলত ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে আসা জিজ্ঞাসার জবাব।
গত ১৫ অক্টোবরের ওই সংলাপে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩৯ বছর পূর্বে ১৯৭৭ সালে অত্যন্ত দৃঢতার সাথে বিএনপি গঠন করেন।
সেদিনের বক্তব্যে বিএনপি আমলের উন্নয়নের প্রশংসাও করেন সিইসি। ওই বক্তব্যের জেরে পরদিন ইসিতে গিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী সংলাপ বয়কট করে সিইসি’র পদত্যাগ দাবি করেন।
ওই বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন-আমরা সংলাপে বসে সিইসি’র কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব।
বুধবার তাই স্বভাবতই ইসির সঙ্গে সংলাপ সেরে আওয়ামী লীগ নেতারা বেরিয়ে এলে সাংবাদিকরা তার ব্যাখ্যা চাওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। কিন্তু প্রথমবার প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে কেবল ব্যাখ্যা জানাতে অপারগতাই প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
কিন্তু সাংবাদিকরা তার ব্যাখ্যার চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আবারও প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সিইসি, ‘অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা ইউজফুল, পজিটিভ। আমরা ব্যাখ্যা পেয়েছি। কিন্তু বলতে চাই না। ’
এ সময় ওবায়দুল কাদেরকে বেশ ফুরফরে মেজাজে দেখা যায়। এর আগে ‘সিইসি’র বক্তব্য বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল হতে পারে’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১ সদস্য সংলাপে অংশ নেয়। বেলা ১১টায় সংলাপ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১টায়।
দলটি একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করার এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন না করাসহ এগারো দফা সুপারিশ করে। একই সঙ্গে তারা আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করার সুপারিশও করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
ইইউডি/জেডএম