বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এমন সুপারিশ করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে জেপি’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে দলটির ১৫ সদস্য অংশ নেয়।
সংলাপ শেষে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য তো সংবিধানের বাইরে যাবে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বারবার যেখানে আঘাত করা হয়েছে, সেখানে আমাদের একটা স্ট্যান্ড ছিলো। আমাদের অবস্থান নির্বাচনের পক্ষে। আমরা আগামীতে ভালো নির্বাচন হোক সে প্রত্যশাই করি’।
তিনি বলেন, ‘একবারেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? সেই পাকিস্তান আমল থেকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, প্র্যাকটিস তো করতে দেওয়া হয় নি। আমরা সেনা মোতায়েনে পক্ষে না, বিপক্ষেও না। সেনা বলে কোনো গোষ্ঠী বা জাতি এখানে নেই। সবাই মানুষ’।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় সংলাপের প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেপি’র চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আমাদের সংলাপ করি। আমরাই তো জাতি, বিজাতি নাকি?
এরপর দলের মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অর্থবহ অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন চাই। সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। তবে একটি বা দুটি রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে অর্থবহ হবে না, তা নয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মাওলানা ভাসানির দল অংশ না নিলেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আগামীতেও এ রকম গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইসির একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে বলেছি’।
‘এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সেনা মোতায়েনের সুপারিশ করেছি আমরা। তবে সহায়ক সরকার বা নির্বাচনের সময় সরকার নিয়ে ইসির এখতিয়ারে নেই বলে কোনো সুপারিশ করিনি। এছাড়া সব রাজনৈতিক দল একমত না হলে ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য বলেছি’।
দলটি ইসির কাছে আটদফা সুপারিশ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংবিধান অনুযায়ী ভোট, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন, ইভিএম নয়, সংসদীয় আসনে সীমানা বহাল, রাজনৈতিক দলকে মনিটরিং, ভোটার তালিকা নির্ভুল করা প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
ইইউডি/জিপি