বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সংস্থাটির সঙ্গে সংলাপে বসে এসব সুপারিশ করে এলডিপি। সংলাপে দলটি ১২ দফা সুপারিশ করেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদের নেতৃত্বে ২১ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। এতে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংস্থাটির ঊধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অলি আহমেদ সংলাপে বলেন, প্রতি ১০ বছর পর পর সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এটা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পৃথিবীর অনেক সভ্য দেশেও এ ব্যবস্থা চালু নেই। এজন্য ২০১৩ সালে যে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে কারো আপত্তি রয়েছে বলে মনে করি না। তাই সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ভোটের ১৫ দিন আগে থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনা মোতায়েন অপরিহার্য। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সেনার তদারকি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরূপ ক্ষমতা দেওয়া জরুরি।
ইভিএম চালুর বিষয়ে সবার ঐক্যমত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অলি আহমেদ।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশের প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন করা উচিত।
এলডিপি লিখিত সুপারিশে বলেছে, ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালের ভোট ছাড়া অন্য নির্বাচনগুলো ছিল বিতর্কিত। ইসির রোডম্যাপ বিভ্রান্তিকর, সময়ক্ষেপণ ও অহেতুক জন অর্থ ব্যয়ের একটি প্রস্তাব। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত।
ষোড়শ সশোধনীর বিষয়ে বলা হয়, ১০ম ও ১১তম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে রায়ে বলা হয়েছে। ইসিকে শক্তিশালী করারও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ইসি এখনও দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জাতি আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত।
এলডিপির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ৪০টি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করলো নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ/