ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

৩৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সংলাপ রোববার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
৩৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সংলাপ রোববার

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর অংশ হিসেবে রোববার (২২ অক্টোবর) নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বসছে সংস্থাটি।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ৩৩ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর প্রধানদের ডাকা হচ্ছে।


 
যাদের সংলাপে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তারা হলেন- মো. সামসুল হক, প্রকৌশলী শেখ আল আমিন, নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, শাহজাহান গাজী, মো. হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী, শারমিন মুর্শিদ, আনোয়ার হোসেন, এএনএম ইমাম হাসনাত, সাইফুল ইসলাম দিলদার, কামরুল হাসান মঞ্জু, শেখ আবদুল মালেক, তালেয়া রহমান, মুনিরা খানম, মিজানুর রহমান, এএইচএম নোমান, নোমান আহমেদ খান, রেজাউল করিম চৌধুরী,  রোখসানা খন্দকার, মো. আব্দুল আলীম, শফিকুল ইসলাম, সাকিব আহমেদ বশার, স্বপন গুহ, বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, এসএম হারুন অর রশীদ লাল, শহীদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন খান,  একে আরজু, শামিমা ইয়াসমিন, হারুন অর রশীদ, সেলিমা সারওয়ার, সরদার হুমায়ুন কবির, এনজেলা গোমেজ ও খন্দকার আলমগীর হোসাইন।
 
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে ১২০টি। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করে ৩৫টি সংস্থা। আর স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে এ সংখ্যা ছিল ১৬টি।
 
সংলাপে আমন্ত্রণের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণদের হারের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
 
এদিকে সংলাপে আমন্ত্রিতদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়া জন্য বলেছেন। কিন্তু মাঠ কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন দেননি।
 
আগামী ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীদের সঙ্গে বসবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য ২৪ অক্টোবর সংলাপ শেষ হবে।
 
ইতিমধ্যে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম এবং ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
 
সংলাপে আসা সুপারশিগুলোর মধ্যে সারাদেশে  সেনা মোতায়নে, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, বিচারিক ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন না করা, না-ভোটের প্রর্বতন, প্রবাসে ভোটাধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরষিদ গঠন, বর্তমান সংসদে প্রতনিধিত্বিকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন, দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, ইলকেট্রনকি ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ, ইভিএম বা ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহার না করা, অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সীমানায় একাদশ সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসনের সীমানা একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পুনর্নির্ধারণ না করা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
ইইউডি/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।