মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১০ মিটিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এ সংলাপ শুরু হয়।
সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রিতরা হলেন, সিইসি বিচারপতি এমএ আজিজ, বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, মোহাম্মদ আবু হেনা, বিচারপতি এম এ আজিজ, এটিএম শামসুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
আমন্ত্রিত নির্বাচন কমিশনাররা হলেন- স ম জাকারিয়া, মাহমুদ হাসান মনসুর, মুদাব্বির হোসেন চৌধুরী এবং মো. সাইফুল আলম (তারা আজিজ কমিশনের সদস্য), এমএম মুনসেফ আলী, এ কে মোহাম্মদ আলী, মো. সাইফুল আলম, মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী, মাহমুদ হাসান মনসুর, মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ।
এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব সাহেব আলী মৃধা; স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. এএফএম মতিউর রহমান; ইসির সাবেক সচিব হুমায়ুন কবীর; সাবেক সচিব এমএম রেজা; বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজপি মোহাম্মদ হাদীস উদ্দীন; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম; সাবেক সচিব এএসএম ইয়াহিয়া চৌধুরী; বিজিবি ও আনসার ও ভিডিপির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম (অব.) এনডিসি, পিএসসি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মঞ্জুর আহমেদকেও সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইসির সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দিয়েই এবারের সংলাপ শেষ হবে।
৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। রোববার (২২ অক্টোবর) নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এবং সোমাবার (২৩ অক্টোবর) নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ করেছে সংস্থাটি।
সংলাপে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে ভোটার তালিকা নিরীক্ষা, ভোটার দিবস উদযাপন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুপারিশ, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ও পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন না দেওয়া বা বাতিল করা, সারাদেশে সেনা মোতায়নে, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, বিচারিক ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন না করা, না-ভোটের প্রর্বতন, প্রবাসে ভোটাধিকার প্রয়োগ ও জাতীয় পরষিদ গঠন।
এছাড়া বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, ইলকেট্রনকি ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোটগ্রহণ, ইভিএম বা ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করা, অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সীমানায় একাদশ সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসনের সীমানা একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পুনর্নির্ধারণ না করা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান তুলে নেওয়া, যারা ৩৩ শতাংশ নারী রাখবে না তাদের নিবন্ধন বাতিল, নারী-পুরুষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি সুপারিশও এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
ইইউডি/ওএইচ/