সর্বশেষ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ১২০টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন করেছিল নির্বাচন আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষটি।
এ বিষয়ে ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বুধবার(২৫ অক্টোবর) বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালের জানুয়ারিতে ১২০টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিলেন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। যাদের মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। এরপর এক বছর বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের মেয়াদ করেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। সে মেয়াদও শেষ হলে গত এপ্রিলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ায় কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। সে মেয়াদ শেষে এবার নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিল নির্বাচন কমিশন।
এদিকে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সম্পন্ন হওয়া নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে অরাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আমলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, নারী প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে যারা নির্বাচন ঠিক মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করবে এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রক্ষা করবে তাদের তদন্ত করে নিবন্ধন বাতিল করারও সুপারিশ করেছেন তারা।
আর নির্বাচন কমিশনও ভাবছে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে। পর্যবেক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কমিশনের সাম্প্রতিক এক বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢালাওভাবে নিবন্ধন না দিয়ে নতুন করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। ’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘পর্যবেক্ষকরা অধিকারকে কাজে লাগিয়ে যেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না করতে পারে, তা নিশ্চিত করা দরকার। এছাড়া তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন তাদের নিজস্ব সংস্থার কাছে জমা দেন। পর্যবেক্ষণের সেই প্রতিবেদন যাতে তারা নির্বাচন কমিশনেও জমা দেন তারও ব্যবস্থা থাকতে হবে। ’
নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, ‘ইতিপূর্বে নিবন্ধিত ১২০টি সংস্থাকে রাখা যাবে কিনা, বা নতুনভাবে কাউকে নিবন্ধন দেওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই নিরপেক্ষ ব্যক্তি বা সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া যেতে পারে। নিবন্ধন ব্যক্তি বা সংস্থা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১ (সি) অনুসরণ করছে কিনা এ বিষয়টি মনিটরিং করতে হবে। ’
এ বিষয়ে ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নীতিমালা পরিমার্জনের ওপর ভিত্তি করেই নিবন্ধন দেওয়া হবে। আমরা নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আবার তাদের কার্যক্রমও খতিয়ে দেখা হবে। সবকিছু বিবেচনায় যারা যোগ্য হবে, তাদেরই নিবন্ধন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়:২১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
ইইউডি/জেএম