ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সমঝোতার উদ্যোগ নেবো না: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
সমঝোতার উদ্যোগ নেবো না: সিইসি সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ঢাকা: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার কোনো ধরণের উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন নেবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। 

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশীজন, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন করার পর আজ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সিইসি  বলেন, দলগুলোর মাঝে সমঝোতার কোনো উদ্যোগ আমরা নেবো না। আমাদের কোনো ইচ্ছা নেই। কেননা, রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে চাই বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে আসুক।

সংলাপে আমাদের কাছে চার শতাধিক সুপারিশ এসেছে। এগুলোকে আমরা চারভাগে ভাগ করেছি। এর মধ্যে আমাদের করণীয় আমরা করবো। আর কিছু আছে সাংবিধানিক বিষয়। আমরা এগুলো বই আকারে সরকারের কাছে পাঠাবো। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে কেএম নূরুল হুদা বলেন, সেনা মোতায়েন আইন অনুযায়ী সময় হলে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষক, ২৩ অক্টোবর নারীনেত্রী এবং ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সংলাপে আসা সুপারশিগুলোর মধ্যে ভোটার তালিকা নিরীক্ষা, ভোটার দিবস উদযাপন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুপারিশ, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ও পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন না দেওয়া বা বাতিল করা, সারাদেশে সেনা মোতায়নে, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, বিচারিক ক্ষমতাসহ সশ্রস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন না করা, না-ভোটের প্রর্বতন, প্রবাসে ভোটারধিকা প্রয়োগ ও জাতীয় পরষিদ গঠন।
 
এছাড়া র্বতমান সংসদে প্রতনিধিত্বিকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন, নবম সংসদে প্রতনিধিত্বিকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন, দশম সংসদে প্রতনিধিত্বিকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, ইলকেট্রনকি ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোটগ্রহণ, ইভিএম বা ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহার না করা, অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সীমানায় একাদশ সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসনের সীমানা একাদশ সংসদ নির্বাচনের র্পূবে পুনর্নির্ধারণ না করা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান তুলে নেওয়া, যারা ৩৩ শতাংশ নারী রাখবে না তাদের নিবন্ধন বাতিল, নারী-পুরুষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি সুপারিশও এসেছে।
 

এদিকে শেষ দিনে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা পরামর্শ দিয়েছে আস্থা যা আছে সেটাই ধারণ করা। এমন কিছু কাজ করা যার ফলে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়। একই সঙ্গে তারা দলগুলোর মধ্যে দুরত্ব নিরসনে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭/আপডেট ১৩৩৪ ঘণ্টা
ইইউডি/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।