রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ওই নারী ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগ বা এনআইডি শাখায় ভোটার হতে আসেন। প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল এক্সপার্ট।
এতেই সন্দেহ হয় এনআইডি অণুবিভাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের। জেরার মুখে তিনি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে জানান, তিনি ভারতে অনেক দিন থেকেছেন। এখন ঢাকায় একটি সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করেন। তার এহেন বক্তব্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়।
এনআইডি কর্মকর্তারা তাকে জেরার মাধ্যমে নিশ্চিত হন, শেফালী এসএসসি পাশের যে সনদ নিয়ে ভোটার হতে এসেছেন তা আসল নয়, বরং কম্পিউটারে স্ক্যান করে বানানো। তবে সনদে উল্লেখিত নাম ও রেজাল্ট ঠিক আছে। এরপর সার্টিফিকেটে উল্লেখিত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন সনদটি তার নয়। এজন্যই তিনি ফটো তুলতে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না।
ওই নারী ঢাকার ধানমণ্ডিতে একটি মেসে থাকার কথা জানালেও তার কোনো মেসমেট বা রুমমেট’র যোগাযোগের কোনো মোবাইল নম্বর বা ঠিকানা দেননি। বাবা-মা, ভাই-বোনের তথ্যও দিচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে শের-ই-বাংলা নগর থানাপুলিশকে খবর দিয়ে শেফালিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ আসার পর ইসি কর্মকর্তারা তার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে বাবা-মা ভাই-বোনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারাও শেফালী কোথায় চাকরি করেন, সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিলেন না। কেউ বলেছেন পঙ্গু হাসপাতালে চাকরি করেন, কেউ বলেছেন পিজি হাসপাতালে।
শেফালী রাণীর বাড়ী যশোর জেলার অভয়নগরে।
শের-ই-বাংলা নগর থানা বলছে, তারা নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ওই মহিলার বিরুদ্ধে কোনো আইনত পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। কেননা, আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তাই মহিলার অপরাধের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলাযোগ্য অপরাধ পাওয়া গেলে মামলা হবে, নইলে হবে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি শাখার যোগাযোগ কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শেফালী রাণীকে নিয়ে কোনো মামলা করছি না। পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এখন পুলিশই সিদ্ধান্ত নেবে কি করবে।
বাংলাদেশ সময়:১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
ইইউডি/জেএম