ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে দেশের সব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার কাঠে পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো নাগরিক তার সমস্যা সমাধানে আবেদন করলে মাসের পর মাস উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পড়ে থাকে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দ্রুত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আবদুল বাতেনের পাঠানো ওই চিঠিতে বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে:
এক) ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু করা। এতে কোনো আবেদন ফেলে রাখার সুযোগ থাকবে না। এ ব্যবস্থায় ট্র্যাকিং নম্বরের মাধ্যমে জানা যাবে একটি ফাইল কোথায় কোন কর্মকর্তার কাছে আছে। তাই কোনো ‘ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ এ কথা বলার আর সুযোগ থাকবে না।
দুই) কোনো আবেদন পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আবেদনটি অনলাইন সিস্টেমে আপলোড করতে হবে। কোনো তদন্ত বা তথ্য প্রয়োজন হলে এনআইডি অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানানো হবে। এতে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে কোনো অনিষ্পন্ন আবেদন পড়ে থাকবে না। এছাড়া এনআইডি অনুবিভাগও বলতে পারবে কতগুলো আবেদন পড়েছে এবং কতগুলো নিষ্পন্ন হয়েছে।
তিন) কোনো ব্যক্তি আবেদন জমা দিলে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা Check by Upazilla করে দিতে হবে অনলাইনে। Authority দেওয়া যাবে না, এতে আবেদন পড়ে থাকে।
চার) উপজেলা বা থানা পর্যায়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে হবে ইন্টারর্নাল সিস্টেমে। অধিকাংশ কর্মকর্তা অপারেটরদের তাদের নিজের ওটিপি OTP (One time passwaor, যা দিয়ে সিস্টেমে প্রবেশ করা যায়। এটি কর্মকর্তার মোবাইলে আসে) দিয়ে রাখেন। এটি করা যাবে না, এতে দুর্নীতির শঙ্কা বেড়ে যায়।
পাঁচ) ডাটা এন্ট্রি অপারেটরা অফলাইনে এন্ট্রি করবেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা OTP দিয়ে আবেদন আপলোড করে Check by Upazilla দেবেন।
ছয়) কার্য ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার বাস্তবায়ন হলে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপজেলা/থানা/জেলা/সিনিয়র জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ করতে হবে।
সাত) উপজেলায় আবেদন গ্রহণকারী তার স্বাক্ষর ও তারিখসহ রিসিপ্ট দেবেন। সেই সঙ্গে রেজিস্ট্রারে নম্বর এবং আইন ও বিধি অনুযায়ী সম্ভাব্য তারিখ (আবেদনকারীকে একটি রিসিপ্ট দিয়ে তাতে সময় দেওয়া হয়) দিতে হবে।
আট) লোকজন যাতে সেবা পাওয়ার জন্য অযথা ঘোরাঘুরি না করেন, সেজন্য একজন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে।
নয়) জরুরি নিষ্পত্তিযোগ্য আবেদনগুলো সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে নিষ্পত্তি হতে হবে, অন্যথায় দুর্নীতি বন্ধ হবে না।
দশ) জটিল সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনে কমিশনের কাছে নথিতে উপস্থাপন করতে হবে।
এদিকে চিঠির শুরুতেই সতর্ক করে বলা হয়, কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ, অসদুপায় অবলম্বনের প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এছাড়া সেবা প্রার্থীদের আইনানুগ যথাযথ সেবা দিতে দীর্ঘসূত্রতা, গড়িমসি বা অন্যের নাম ভাঙানো বা শিথিলতা বরদাশত করা হবে না।
এনআইডি সংশোধন: নিজেদের প্রণীত আইন মানছে না ইসি
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
ইইউডি/আইএ