ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রসিক নির্বাচনে আচরণ পর্যবেক্ষণে অর্ধশত ম্যাজিস্ট্রেট 

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৭
রসিক নির্বাচনে আচরণ পর্যবেক্ষণে অর্ধশত ম্যাজিস্ট্রেট 

ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে মাঠে নামানো হচ্ছে অর্ধশত ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনের মত থাকছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন প্রায় ১০ জন।

এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কঠোরভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। আচরণবিধির কোনোরূপ লঙ্ঘন বা ব্যত্যয় দেখা গেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনকে তা কঠোর ও আপসহীনভাবে মোকাবেলা করার জন্য এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে।


 
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, সম্ভাব্য প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রচারকাজ চালাতে পারবেন না। একইসঙ্গে অন্য কাউকে মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা বা কোনো ভয়ভীতিও দেখাতে পারবেন না। এসব ছাড়াও নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ কালো টাকা ছড়াতে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। আবার আইনে নির্ধারিত প্রচারণার সময়ে কেউ যাতে বিধি বিধান লঙ্ঘন না করে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করবেন তারা। কেউ নির্বাচনী আইন বা বিধি লঙ্ঘন করলে তার বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করবেন তারা।
 
রসিক নির্বাচনে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে। আর সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১১টি। এক্ষেত্রে প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া ১০জনের মতো বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।
 
রসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২২ নভেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন ২৫ ও ২৬ নভেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ২৭-২৯ নভেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৪ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ২১ ডিসেম্বর।
 
ইতিমধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় পর্যন্ত অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেউ আগাম প্রচারকাজ চালাচ্ছেন কিনা বা কোনো অনিয়ম করছেন কিনা, তা-ও পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। অবশিষ্টদের মধ্যে কিছু নিয়োগ দেওয়া হবে প্রতীক বরাদ্দের সময় অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর থেকে। আর নির্বাচনের তিনদিন আগে থেকে মাঠে নামবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা।
 
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ইতিমধ্যে ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে মোট কতজন নিয়োগ দেওয়া হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কেননা, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো দেয়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
ইইউডি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ