বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নিজ বাসভবনে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ লক্ষে তিনি নির্বাচনী প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।
সুইটি আনজুম বলেন, আমি একজন নারী হয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই, যাতে অন্য নারীরাও সাহস পাবে। নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারীদেরকেই সাহসী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমি মনে করি, একজন নারী এগিয়ে আসলে অন্য নারীরাও সাহস পাবে।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেরণা কোথায় পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া রংপুরের তথা উপমহাদেশে নারীদের যে আলোর পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথেই আমি এগিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমার স্বামী মাসুদুর রহমান বাবলু সবসময় আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। শত বাঁধা-বিপত্তিতে পাশে থেকেছেন।
নারী যে স্বাধীনতা পাওয়ার যোগ্য, তা আজও পায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে নারী ও শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক ক্ষেত্রে সফলতাও পেয়েছি। ২০১৫ সালে বেগম রোকেয়া পদক, নারী শান্তি পদক, অমর একুশে স্মৃতি পদকসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি পেয়েছি। এখনো সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনগুলোতেও আমার প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো।
তিনি আরও বলেন, শূন্য হাতে শুরু করে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে গরীব-দুঃখী ও ঝড়ে পরা শিশুদের জন্য রংপুরে ১০টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আরও প্রায় দেড় হাজার ঘড়োয়া স্কুলের মাধ্যমে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও মিঠাপুকুরসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি কোটি টাকা খরচ করতে পারবো না। নির্বাচনে টাকার খেলার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমি যদি মানুষের মন জয় করতে পারি, বিশ্বাস অর্জন করতে পারি তাহলে- তাহলেই মানুষ আমাকে জয়যুক্ত করবে।
মেয়র হলে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য আলাদা সুবিধার ব্যবস্থা করবো। এই তিন শ্রেনীর মানুষদের সিটি কর্পোরেশনে প্রবেশে কোনো ধরনের বাঁধা থাকবে না- বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
নির্বাচনে তিনি সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এএটি/এমএইউ/