জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম, প্রার্থীদের জনসভাসহ অন্যসব প্রচারণা ও কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। এক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কিংবা কেউ ইচ্ছাকৃত আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
‘আমরা চার নির্বাচন কমিশনার ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে এই পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করবো। প্রত্যেকেই প্রার্থীদের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেবেন। এক্ষেত্রে আমরা অনেক কঠোর অবস্থানে রয়েছি’—বাংলানিউজকে এমনটাই বললেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাও রসিক নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন।
রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২২ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন ২৫ ও ২৬ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ২৭-২৯ নভেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা ৪ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক:
এ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে আগামী ১৯ নভেম্বর বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বৈঠক করবে। ওই সভায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
ইইউডি/জেএম