মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মাহবুব তালুকদারকে সাংবাদিকরা বলেন, ‘হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের অনেকের সাজা হয়েছে।
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটি আমি কেমন করে বলবো? তবে জামায়াতের চিহ্নিত যারা আছেন, তাদেরকে আমরা নির্বাচনে গ্রহণ করবো না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও যদি জামায়াতের কেউ নির্বাচনে আসতে চান, তাহলেও নির্বাচন কমিশনের সভায় আলাদা আলাদাভাবে তাদের বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবো’।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘একজন বলে দিলেন, কেউ জামায়াতের লোক, তাহলে সে বিষয়ে আমি কেমন করে বলবো? কোনো অভিযোগ পেলে সেটি কমিশন আগে পর্যালোচনা করে দেখবে। জামায়াতের সবাইতো চিহ্নিত নন। যারা চিহ্নিত, তাদেরকে অবশ্যই নির্বাচনে গ্রহণ করা হবে না’।
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক সংলাপে অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশিজন, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ (জাসদ) বেশ কয়েকটি দল জামায়াত নেতাদের নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার সুপারিশ করেছিলেন।
নির্বাচনে ইলেকট্রনিংক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার কারণ ও সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তাদের অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন এ নির্বাচন কমিশনার।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘সংলাপে এসে কিছু দল নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে মতামত দিয়েছে। আবার কিছু দল বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। তবে জনগণ চায়, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেনা মোতায়েনের জন্য আইন পরিবর্তন করা হবে হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন’।
‘আইন অনুসারে, সেনা মোতায়েন হবে। তবে কমিশন এখনো সে সিদ্ধান্ত নেয়নি। সময় হলেই কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় সেনা মোতায়েন হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। আর ইভিএম মেশিনে ত্রুটি দেখা যাওয়ায় এটি আমরা অকার্যকর ঘোষণা করেছি। তবে কিছু মেশিন সচল আছে, যেগুলো দিয়ে স্থানীয় সরকারের কিছু নির্বাচন হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হবে না’।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর