সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট শাখার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, জানুয়ারিতে চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরইমধ্যে যারা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তাদের ছবি তুলে নিবন্ধনের কাজ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এবার নিবন্ধিত হয়েছেন মোট ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০৯ জন নাগরিক। কোনো ভুল ধরা না পড়লে এ সংখ্যাটি ভোটার তালিকার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। নতুন ভোটারদের মধ্যে এবার নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় ৪০ হাজারেরও বেশি। নতুন নারী ভোটার ১৬ লাখ ৮৭ হাজার এবং পুরুষ ভোটার ১৬ লাখ ৪৩ হাজার।
এ বছর ৩৫ লাখ ভোটার হালনাগাদ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল নির্বাচন কমিশনের। তবে ইসি সূত্র জানিয়েছেন, এখনো মাঠ পর্যায় থেকে অনেক তথ্য আসেনি। সেগুলো এলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
গত ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি হালনাগাদ তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে। যার ওপর দাবি, আপত্তি নিয়ে তা নিষ্পত্তি করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে একই বছর ৩১ জানুয়ারি। একাজের জন্য ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৬ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ জন ভোটার। এর সঙ্গে নতুন ভোটার যুক্ত হলে মোট ভোটার দাঁড়াবে সাড়ে ১০ কোটির বেশি। ২০১৮ সালে আর ভোটার তালিকা হালনাগাদ হবে না। কেননা, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষত্রে পৌনে ১১ কোটি ভোটারে হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম আগামী বছর হাতে না নিলেও, কেউ চাইলে সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ