নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, সম্মানি-ভাতা, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার, ব্যালট পেপার, সিল, স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ইত্যাদি খাতে নির্বাচনী পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়াও বিরাট বরাদ্দ রাখা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য।
রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর।
নির্বাচনে ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, নির্বাচনে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য, র্যাবের ৩৬টি টিম ও বিজিবি'র ১৮টি টিম নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর ১১টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন। ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন প্রায় অর্ধশত।
এনামুল হক বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয়ের তিন ভাগের দুই ভাগ ব্যয় হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়। ৩ কোটি টাকার মতো আমরা বরাদ্দ রেখেছি। এ অঙ্কের কিছু কম-বেশি হতে পারে। তবে বাড়লেও সমস্যা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে। যেহেতু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ওপর ব্যয়টা নির্ভর করে, তাই সঠিক অঙ্কটা এখনই নির্ণয় করা যাবে না’।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন আগামী শনিবার (২৫ নভেম্বর) ও রোববার (২৬ নভেম্বর)।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করার পর তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে আগামী ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আপিল কর্তৃপক্ষ আপিল নিষ্পত্তি করবেন আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ০২ ডিসেম্বরের মধ্যে। আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তও যথাযথ মনে না হলে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। সেখানেও সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে না এলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ০৩ ডিসেম্বর। আর ০৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। সেদিন থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর
** ‘সচ্চরিত্রবান’ না হলে রসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল!