নিয়োগ প্রত্যাশীদের অভিযোগ, সদর উপজেলার বিতরণ কার্যক্রমে এ উপজেলার আগ্রহীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, অথচ নিয়োগ পাচ্ছেন দূর-দূরান্তের প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তত্ত্বাবধানে স্মার্ডকার্ড তৈরি করে তা বিতরণ করা হচ্ছে ভোটারদের মাঝে।
এর আগে ভোটার হালনাগাদে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং যথাযথ ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওই জনবল মাত্র ৩ মাস কাজ করার সুযোগ পান।
অথচ এবার নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই জনবল নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
নিয়োগ প্রত্যাশীদের দাবি, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ও বন্দর উপজেলায় সব মিলিয়ে পৌনে ৮ লাখ স্মার্টকার্ড বিতরণে এক বছর লাগতে পারে। এরপরই আসবে অন্য উপজেলাগুলোর কার্ড। দীর্ঘদিনের চলমান এ বিতরণ কার্যক্রমের শুরুতেই এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ কাজটিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উপলক্ষে প্রস্তুতি গ্রহণ ও বিতরণ সূচি প্রেরণ’ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপা.) মো. আব্দুল বাতেন ম্বাক্ষরিত চিঠি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সদর ও বন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে এসেছে। চিঠিতে তিনজন টিম লিডারের নেতৃত্বে ১৫ জন অপারেটর ও ৯ জন সহযোগী নিয়োগ দিয়ে তিনটি টিম গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নিয়োগ প্রত্যাশীর অভিযোগ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা মিলে যে তালিকা তৈরি করেছেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা না দেখেই তাতে স্বাক্ষর করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত একজন কর্মকর্তার স্বজন নারী প্রার্থীকে নেওয়া হয়েছে, যিনি এর আগে হালনাগাদের সময় অনেক অনিয়ম করেছেন। তার হাতে ভোটার হতে ইচ্ছুকসহ অন্য সহযোগীরাও নাজেহাল-বঞ্চিত হয়েছেন। সে সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি, বহাল তবিয়তেই ছিলেন তিনি। ওই কর্মকর্তারই আরেক আত্মীয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বরখাস্ত হলেও তিনিও ফের বহাল হয়েছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমানের দাবি, যারা ইতোপূর্বে রাজধানী ঢাকায় এ স্মার্টকার্ড বিতরণ ও সংশ্লিষ্ট কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদেরকেই এবার নারায়ণগঞ্জে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এএসআর