প্রতি জেলায় ৮ থেকে ১০ জন বিশিষ্টজনকে এই কার্ড তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেসন্স) মো. আব্দুল বাতেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে- স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম জেলা প্রশাসন এবং জেলা নির্বাচন কার্যালয় সমন্বয় করে শেষ করবে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এজন্য ছোট পরিসরে আনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় গণমান্য ৮ থেকে ১০ ব্যক্তির হাতে এ কার্ড তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
জনগণের মধ্যে এই কার্ড গ্রহণের সাড়া ফেলতে স্থানীয় গণমাধ্যমে এবং ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম ব্যাপক আকারে প্রচার করার জন্যও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
স্মার্টকার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে ২৩ জেলার ২৩টি উপজেলায় কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বরে। এরপর অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।
যেসব জেলার যে উপজেলাগুলোয় এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে, এগুলো হলো-গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, শরিয়তপুর সদর, বান্দরবান সদর, খাগড়াছড়ি সদর, কক্সবাজার সদর, পিরোজপুর সদর, পটুয়াখালী সদর, ঝালকাঠী সদর, বরগুনা সদর, মেহেরপুর সদর, বাগেরহাট সদর, নড়াইল সদর, হবিগঞ্জ সদর, সুনামগঞ্জ সদর, বগুড়া সদর, জয়পুরহাট সদর, পাবনা সদর, নেত্রকোনা সদর, কুড়িগ্রাম সদর, লালমনিরহাট সদর, পঞ্চগড় সদর ও নোয়াখারী সদর।
এসব এলকায় মোট ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ২৫৯ জন ভোটারের মধ্যে উন্নতমানের এ কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে। এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই দেশে গ্রাম পর্যায়েও শুরু হচ্ছে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম। ২০১৬ সালের অক্টোবরে কুড়িগ্রামের একটি উপজেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণের উদ্বোধনী কার্যক্রম ঢাকার সঙ্গে একযোগে করা হয়েছিল। বর্তমানে বিভাগীয় পর্যায়ে এ কার্ড বিতরণ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ