বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবে।
কালো টাকা দিয়ে ভোট কেনা-বেচা বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে দাবি করে নুরুল হুদা বলেন, ২১ ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এর সকল প্রস্তুতি শেষের পথে। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৩ জন সশস্ত্র অস্ত্রধারী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।
নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, কারো বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে পুলিশ অবশ্যই তাদের দায়িত্বপালনে গ্রেফতার অভিযান চালাবে। এটা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ছাড়াও র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র, কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
বিএস