ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘প্রশাসনিক ছাড়া কোনো বাধা নেই’

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
‘প্রশাসনিক ছাড়া কোনো বাধা নেই’ জয়ের বিষয়ে ‘শতভাগ’ আশাবাদী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর থেকে: জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত নগরী গড়ার প্রধান প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ‘শতভাগ’ জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী।

নির্বাচনী পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতিসহ নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে।
 
বাংলানিউজ: আগেরবার প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন।

এবার লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। কেমন মনে হচ্ছে আপনার অবস্থান?
 
মোস্তফা: গতবার তো দলের সমর্থন পাইনি। বিদ্রোহী হয়েছিলাম, যদিও সেটি দলীয় নির্বাচন ছিল না। এবার নিজের ব্যক্তি ইমেজের সঙ্গে দলের শক্তি কাজ করছে। ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জাতীয় পার্টির জন্যও এ জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
 
বাংলানিউজ: ফলাফলের বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?

মোস্তফা: ফলাফল তো নির্বাচনের পরেই জানা যাবে। তবে আমি জয়ী হবো বলে শতভাগ বিশ্বাসী। কেননা, জাতীয় পার্টির বৃহৎ একটি শক্তি আমার পেছনে কাজ করছে।
 
বাংলানিউজ: নির্বাচনে কোনো বাধা আসছে কি?
 
মোস্তফা: বাধা যেটি আছে, সেটি হচ্ছে প্রশাসনিক। এছাড়া কোনো বাধা নেই। সবার জন্য সমান সুযোগ হচ্ছে না। প্রশাসন সমান সুযোগ করে না দিলে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। এমনিতেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রতি অ্যাডভান্টেজ দেওয়া আছে। আমাদের কোনো ছুঁতো পেলেই জরিমানা করা হচ্ছে। আর সরকার দলীয় প্রার্থীর গুরুতর অপরাধও আমলে নেওয়া হচ্ছে না। কাজেই কাউকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া হলে আমরাও সে পথেই হাঁটবো।
 
বাংলানিউজ: তাহলে কি আইন না মানার কথা বলছেন?

মোস্তফা: না। আইন না মানার কথা বলছি না। আমরা চাই, নির্বাচন বিনা সংঘাতে ‍সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হোক। তবে কোনো বাধা এলে তা অতিক্রম করবো। এজন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
 
বাংলানিউজ: নির্বাচিত হলে আপনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কি কি করবেন?

মোস্তফা: নগরীর অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা দূর, যানজটমুক্ত রাখা এবং দুর্নীতিমুক্ত করবো প্রথমে।
 
বাংলানিউজ: জয় পাবেনই, এমনটা কেন মনে হচ্ছে আপনার?
 
মোস্তফা: উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার সময় মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি। আশা করি, তারা সে প্রতিদান দেবেন। এছাড়া দলীয় শক্তি একটি বড় শক্তি। এই দুই শক্তি মিলে যে শক্তির সৃষ্টি হয়েছে, তাতেই আমি জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
 
বাংলানিউজ: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বার বার সংসদ সদস্য (এমপি) হয়েও তেমন উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি কিভাবে আশা করেন, সেই দলের প্রার্থী হয়ে ভোটারদের সমর্থন পাবেন?
 
মোস্তফা: এরশাদ উন্নয়ন করেননি- এটি মিথ্যা কথা। রংপুরের উন্নয়ন তাহলে কে করেছেন? এখন তিনি বিরোধী দলের এমপি হিসেবে যতোটুক বরাদ্দ পেয়েছেন, তাই করছেন। তার কাছে যখন ক্ষমতা ছিল, সবচেয়ে বেশি করেছেন। যারা এসব বলেন, তারা লাঙ্গলের বিরোধিতা করেন। কাজেই তাদের কথা ধরে লাভ নেই। লাঙ্গলের প্রতি মানুষের সমর্থন আছে বলেই এরশাদ এখনো এমপি হচ্ছেন।
 
আগামী ২১ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ সিটিতে এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। এতে মোস্তফার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু (নৌকা), বিএনপির কাওছার জামান বাবলা (ধানের শীষ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের আব্দুল কুদ্দুছ (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা (হাতপাখা) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সেলিম আখতার (আম) এবং জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার (হাতি)।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।