ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রংপুরে ধানের শীষের ‘খাওয়া’ নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
রংপুরে ধানের শীষের ‘খাওয়া’ নেই চাষি আবু তালেব

রংপুর থেকে: নগরীর চিকলি পার্কের ভেতর দিয়ে মেঠো পথ ধরে একটু হেঁটে গেলেই পাকা রাস্তা। এ রাস্তা ধরেই কিলোমিটার তিনের মত এগুতেই চোখে পড়ল বিস্তির্ণ এলাকাজুড়ে ফসলের মাঠ। রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) এ এলাকাটির নাম কুকরুল। চার নম্বর ওয়ার্ড।

চাষি আবু তালেব একমনে লাঙ্গল চালিয়ে যাচ্ছেন আলুর মাঠে। কাছেই গিয়ে জানতে চাওয়া রসিক নির্বাচনের হালচাল।

কথাবার্তায় যেটা জানালেন, এখানে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোননীত প্রার্থী সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টুর সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার। আর বিএনপির প্রার্থী তেমন কোনো অবস্থান নেই। তবে নগরীর একটা অংশে তার কিছু ভোট রয়েছে।

‘রংপুরে তো ধানের শীষের খাওয়া নেই। লাঙ্গল আর নৌকে ছাড়া কোনো কথা হবের নয়’-এমনভাবেই বললেন আবু তালেব।

রংপুর সিটির ৩৩টি ওয়ার্ড। বেশিভাগর এলাকার ভোটারদের মন্তব্যই এমন। ধানের শীষ বা বিএনপি এখানে কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। তবে এলাকাবাসী বলছেন, মেয়র নির্বাচনে বিএনপি যাকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে, সে প্রার্থীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের মেলামেশা রয়েছে। তার কাছে কেউ গেলে সাহায্য পান। এছাড়া আচরণও অনেক ভালো। সেই হিসেবে কিছু এলাকায় তার ব্যক্তিগত ভোট রয়েছে, যতটা না বিএনপির ভোট।

নগরীর সিনিয়র সিটিজেনরা বলছেন, বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা (ধানের শীষ) ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কারণেই বেশি ভোট পাবেন, যতটা না দলের কারণে পাবেন। এক্ষেত্রে সিটির পূর্বাঞ্চলের কিছু ভোট পাবেন তিনি।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনসার আলী বাংলানিউজকে বলেন, হামার অমপুরে সবগুনাই লাঙ্গল। নৌকে ইদেনিং হবার নাকছে। অন্য যারা দাড়াইছে ভুটে, তাগরে কোনো খাওয়াই নাই।

২১ ডিসেম্বর রসিক সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র এটিএম গোলাম মোস্তফা (হাতপাখা) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র (এনপিপি) সেলিম আখতার (আম) এবং জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার (হাতি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে এ সিটিতে।

অন্যদিকে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সির পদে ১৭৯ জন এবং সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে নাদিরা খানম নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজনও রয়েছেন।

এবার ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন ভোটার তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ জন পুরুষ ভোটার এবং ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন নারী ভোটার।

২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর নির্দলীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে ২৮ হাজার ৪৫০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন ঝন্টু। তিনি ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়েছিলেন। আর মোস্তফা পান ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
ইইউডি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।