নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পাশে গিয়ে দেখা গেলো ভোরের শীত উপেক্ষা করে বৃদ্ধ-নারীরা ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ সাইরেন বাজিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল।
কথা হয় পঞ্চাষোর্ধ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। 'হামরা এবার আর ভুল কইরবান নাই বাহে, এবার যোগ্য দেখি ভোট দেমো, যায় হামার কথা শোনে, খোঁজখবর নেয় তাকেই হামরা ভোট দেম' এভাবেই জানালেন তার অনুভুতি কথা।
দু'একটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেলো ভোটারদের উপস্থিত বেশ ভালই। ভোটকেন্দ্রের বাইরেও উৎসুক জনতার ভিড়।
কেন্দ্রগুলোর আশ-পাশে ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর বের করে দিয়ে কৌশলে ভোট চেয়ে নিচ্ছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের লোকজন।
ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ভোটগ্রহণ। ধীরে ধীরে শীত কেটে সূর্যের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
ভোট দিয়ে প্রথম বের হয়ে আসেন এক মধ্যবয়স্ক নারী। মুখে হাসি। এগিয়ে গিয়ে কথা বললেই জানালেন, ভোটটা দিনুং (দিলাম), ভালই নাগিল (লাগলো)।
কোনোরকম সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে জানালেন, খুব ভালোমত দিছি ভোট, কোনো সমস্যা হয় নাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এএটি/