আর এ-থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যক্তি ইমেজটাকে ধরে রাখতে ভালো আচরণকে গুরুত্ব দেবেন তিনি। আর সেকথাই জানালেন সিটি নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
দিনভর উৎসবমুখর ভোট শেষে রাতে রংপুর পুলিশ লাইনে এসে কথা বলেন মোস্তফা। বাংলানিউজসহ অন্যসব গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সদ্য জয়ী এই নগরপিতা।
তিনি বলেন, 'উন্নয়ন কম হলেও অ্যডাজাস্ট করা যায়, প্রথমে দরকার গুড বিহ্যাবিয়ার। আচরণটা ভালো করতে হবে। যে মানুষগুলো আপনাকে নির্বাচিত করলো, যদি খারাপ আচরণ করেন তাহলে জনপ্রিয়তা থাকবে না। আমি সেই বিষয়টাকে গুরুত্বের সাথে দেখবো। ’
রাত পৌনে ১১টার দিকে ফলাফল ঘোষণার কেন্দ্রে আসেন মোস্তফা। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। তখন মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, এটা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন। এরপর নির্বাচনী কর্মকর্তারা তাকে বাইরে চলে যেতে বলেন। বাইরে যাওয়ার আগে এবং পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মোস্তফা।
তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ তিনটি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলজট নিরসন এবং যানজট নিয়ন্ত্রণ করা। এই তিনটি কাজ করাই আমার চ্যালেঞ্জ।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে রংপুরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোস্তফা বলেন, তারা যে প্রত্যাশা নিয়ে ভোট দিয়েছে তা পূরণ করবো। প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
‘আমার অপজিশন (বিরোধী দল)-সহ সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই, সবার সহযোগিতা চাই। ’
এসময় রাঙ্গা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে রংপুরের জন্য বরাদ্দ নিয়ে এগিয়ে নেব। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে একটি গাড়িতে করে পুলিশ লাইন মাঠ থেকে রাঙ্গার সাথে বের হয়ে যান মোস্তফা। এসময় নেতা-কর্মীরা তাকে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
মেয়র পদের এই জয় রংপুরবাসীকে উৎসর্গ করে মোস্তফা বলেন, যতো দিন এরশাদ বেঁচে থাকবেন, জাতীয় পার্টিকে দমানোর মতো দল আছে বলে আমার মনে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এমআইএইচ/জেএম