ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিরল পৌর নির্বাচনে প্রতীক নয় ব্যক্তিই বড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
বিরল পৌর নির্বাচনে প্রতীক নয় ব্যক্তিই বড় ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন প্রার্থীরা, ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা বিরল উপজেলার নব গঠিত পৌরসভার প্রথম নির্বাচন আগামী ২৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)। এই দিনটিতে নির্ধারণ হবে বিরল শহর ও পৌরসভার পিতার আসনে কে বসবেন। পৌর পিতার আসনে বসার জন্য এরই মধ্যে নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে জোর প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা।

দিন-রাত এক করে ভোটারের কাছে যাচ্ছেন তারা। বিরল পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে ভোটাররা প্রতীক নয় ব্যক্তি দেখেই ভোট দেবেন বলে জানান।

প্রার্থীদের নিজ ইমেজেই নির্ভর করছে জয়-পরাজয়ের বিষয়।  

নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন নয় প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ প্রার্থী রয়েছেন।

মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী এবং লাঙ্গল নিয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন দুলাল।

এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বরশি প্রতীক নিয়ে শফিকুল আজাদ মনি, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে বাবুল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তানজিউল ইসলাম লাবু হেলমেট, মোকলেছুর রহমান জগ, আইয়ুব আলী কম্পিউটার ও ফরহাদুর রহমান সেলিম নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে আছেন।

বিরল পৌর শহরের হুসনা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, বিরল পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে প্রতীক নয় ব্যক্তি হবে বড় বিষয়। আমাদের রাস্তা-ঘাটসহ সব দিকের উন্নয়নে যে যোগ্য তাকেই ভোট দেবো। বিরল পৌর নির্বাচনে জাতীয় প্রতীক থাকলেও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দেবো।  

লিটন নামের অপর এক ভোটার বলেন, এটি কোনো জাতীয় নির্বাচন নয়। এখানে দুঃখে-সুখে যাকে পাবো, যে শহরের উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিবেদিত করবেন তাকেই চাই।  

বিরল পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে দেশের দুই রাজনৈতিক দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ছাত্র নেতা শফিকুল আজাদ মনি। তবে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে নেই বিএনপি প্রার্থী লিয়াকত আলী।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলার নবগঠিত বিরল পৌর নির্বাচনে মোট ৯ হাজার ৬৩৪ ভোটার তাদের ভাটাধিকার প্রয়োগ করবেন।  

গত ২০১১ সালের ১৯ এপ্রিল উপজেলার শংকরপুর, আলীপুর, হুসনা, বিরল, পাইকপাড়া, ব্রহ্মপুত্র, চকভবানী, রবিপুর, পূর্ব মহেশপুর এলাকার মোট ৫ দশমিক ৩০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় বিরল পৌরসভার। ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর নব গঠিত এই পৌরসভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২০১৩ সালের ২৭ জুন বিরল পৌরসভার গেজেট প্রকাশ হয়। পৌরসভা গঠনের পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ