ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ল্যাপটপ সংকটে স্মার্টকার্ড বিতরণে বিপত্তি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
ল্যাপটপ সংকটে স্মার্টকার্ড বিতরণে বিপত্তি

ঢাকা: উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড জেলা পর্যায়ে বিতরণে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু পর্যাপ্ত ল্যাপটপ না থাকায় দেখা দিয়েছে বিপত্তি।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের জন্য অন্তত ১ হাজার ল্যাপটপের প্রয়োজন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ল্যাপটপও নেই।

স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় ল্যাপটপে নাগরিকের তথ্য ইনপুট দিয়ে নির্দিষ্ট বিতরণে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। যেখানে স্মার্টকার্ড কোন বাক্সে এবং কোন কক্ষে থাকে সে তথ্যগুলো সংরক্ষিত থাকে। এছাড়া নাগরিকদের দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিতে হয়। আর এ কাজগুলো করতে ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়ে। সারাদেশের প্রতিটি থানায় এজন্য অন্তত ২টি করে ল্যাপটপে প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের জন্য কোনো ল্যাপটপই নেই। ফলে ল্যাপটপ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উন্নতমানের এ কার্ড বিতরণে কার্যক্রম।
 
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে দেখা যায়, স্মার্টকার্ড সরকার জন্য প্রকল্প (আইডেন্টিফিকেশস সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস-আইডিইএ) কার্যালয়, ডাটা সেন্টার, সার্ভার সেন্টার ও পারসোনালাইজেশন সেন্টার নির্বাচন ভবনে স্থানান্তরের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্মার্টকার্ড সরবরাহ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ১ হাজার ল্যাপটপ ক্রয়ের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। কেননা, স্মার্টকার্ড বিতরণের জন্য পর্যাপ্ত ল্যাপটপের সংকট দেখা দিয়েছে। আবার ১ হাজার ১৩০ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে নিয়োগের চুক্তির মেয়াদ নবায়ণ করার জন্যও বলা হয়েছে বৈঠকে।

তবে বৈঠকে উপস্থিত পরিকল্পনা কমিশনের ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ডিভিশনের (আইএমইডি) পরিচালক বলেছেন, যেহেতু আইডিইএ প্রকল্পের মেয়াদ চলতি ডিসেম্বরে শেষ হবে, তাই এক হাজার ল্যাপটপের যৌক্তিকতা নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা পর অন্তত ৬শটি ল্যাপটপ কেনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক।

এ বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬’শটি ল্যাপটপ কিনতে হবে। এছাড়া স্মার্টকার্ড প্রকল্প কার্যালয়, ডাটা সেন্টার, সার্ভিস সেন্টার এবং পারসোনালাইজেশন সেন্টার নির্বাচন ভবনে স্থানান্তরও কার প্রয়োজন।

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভান্ডার এখনো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাড়া করা ভবনে রয়েছে। এছাড়া স্মার্টকার্ডে নাগরিকদের তথ্য ইনপুট দেওয়ার কার্যক্রম তথা পারসোনালাইজেশন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে মেশিন বসিয়ে সম্পাদন করছে নির্বাচন কমিশন।

২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন বিশ্বব্যাংকের সহায়তা স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ প্রকল্পটি হাতে নেয়। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে এটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংক মেয়াদ আর না বাড়ানোর পক্ষে থাকায় চলতি ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে এ প্রকল্পের মেয়াদ। নির্বাচন কমিশন এখন নতুন একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
ইইইডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।