এদিকে, নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই পরিষদের (ইউপি) বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন জানান, ক্ষমতাশীল দলের নেতাকর্মীদের অব্যাহত হুমকিতে নেতাকর্মী এবং নির্বাচনী এজেন্টদের জীবন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনে প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতাশীল দলের নেতাকর্মী ও প্রার্থীর অব্যাহত হুমকিতে তিনি প্রচারণা চালাতে পারেননি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে তার দলের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে নিষ্ক্রয় করে ফেলা হয়। যাদের ভোটকেন্দ্রের এজেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, তাদের অনেককে এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তিনি বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মামুন জানান, বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার কোনো চিঠি তিনি পাননি। তবে লোকমুখে বিষয়টি শুনেছেন। বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করলেও সেখানে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী সদর উপজেলা তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়ন তিনটি হল ধর্মপুর, নোয়ান্নই ও নোয়াখালী। বুধবার সন্ধ্যার আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সরাঞ্জম ৩ ইউনিয়নের ২৯টি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। একই সঙ্গে পৌঁছেছেন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমেদ জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে পাঁচজন পুলিশ ছাড়াও পর্যাপ্ত আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি তিনটি কেন্দ্রে একটি করে মোবাইল টিম এবং একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত টহলে থাকবে র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ