রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদন করে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
লিখিত আবেদনে বিএনপির এই প্রার্থী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় ভোট গণনার দাবি করেছেন।
লিখিত আবেদনে বিএনপির প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান দাবি করেছেন, ভোটের আগেরদিন থেকেই সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয়ভীতি দেখায়।
এছাড়া ভোটের দিন ভোট গণনার সময় ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়। ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯টি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানান ধানের শীষের এই প্রার্থী।
জেলা নির্বাচন অফিসার রাজু আহমেদ বিএনপির প্রার্থীর আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিএনপির প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানের লিখিত আবেদন রোববার আমরা হাতে পেয়েছি। আবেদনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিদের্শনা মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান রিটানিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন।
বিএনপির পরাজিত এই প্রার্থী সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের ফলাফল বয়কট করে, শনিবার রাতেই জীবননগর উপজেলাতে সংবাদ সম্মেলনে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছি। ন্যায় বিচার পেতে দুই একদিনের মধ্যেই আদালতের শরণাপন্ন হবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ