ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

জামানত হারালে খোয়া যাবে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
জামানত হারালে খোয়া যাবে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে জামানত হারালে এক লাখ ২৭ হাজার টাকা খোয়া যাবে। কারণ যারা প্রার্থী হচ্ছেন তাদের জামানত বাবদ এক লাখ টাকা এবং ভোটার তালিকা সিডি (কমপ্যাক্ট ডিস্ক) কিনতে গুণতে হচ্ছে ২৭ হাজার টাকা।

ডিএনসিসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ভোটার সংখ্যার অনুপাতে উত্তরের ভোটে প্রার্থীদের জামানত ধার্য করা হয়েছে এক লাখ টাকা। আর ভোটার তালিকা সিডি ক্রয়ে লাগবে ২৭ হাজার টাকা।

জামানতের টাকা নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ও ডিএনসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বরাবর পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আর ভোটার তালিকা সিডি ক্রয়ের টাকা জমা দিতে হবে চালান করে।
 
প্রার্থী সিডি ক্রয়ের আগেই টাকা জমা দিতে হবে ব্যাংকে। আর মনোনয়নপত্র ইসির ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে পূরণ করেও জমা দেওয়া যাবে। তবে জমা দেওয়ার সময় জামানতের টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্রও জুড়ে দিতে হবে।
 
আবুল কাসেম বলেন, ডিএনসিসি’র ব্যাপক সংখ্যক ভোটারের পেছনে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় অনেক বেশি। সেই তুলনায় জামানত খুব বেশি নয়। আর ভোটারদের তথ্য প্রার্থীকে জানানোর জন্যই সিডি বিক্রি করা হয়। এতে নির্বাচন কমিশনেরও একটা ব্যয় আছে।
 
নির্বাচন আইন অনুযায়ী, সিটি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট যেসব প্রার্থী পাবেন, কেবল তাদের জামানতই বাতিল হবে। আটের এক ভাগ ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী তার জামানত ফেরত পাবেন।
 
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের মোট ভোটার ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ জন।
 
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনিসুল হক ছাড়া কোনো প্রার্থীই ২০ হাজারের বেশি ভোট পাননি। নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, ডিএনসিসি’র ১৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৪ প্রার্থীই তাদের জামানত হারান। কেননা, তাদের কেউই প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ পাননি।
 
ওই নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোট ছিলো ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮টি। এর এক অষ্টমাংশ হচ্ছে এক লাখ ৯ হাজার ২৫৭টি ভোট।
 
সে সময় ডিএনসিসি নির্বাচনে যারা জামানত হারিয়েছিলেন তারা হলেন- আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, চৌধুরী ইরান আসাদ সিদ্দিকী, নাদের চৌধুরী, বাহাউদ্দিন আহমেদ সরকার, মাহী বি চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, মো. আনিসুজ্জামান খোকন, মো. জামান ভূঁইয়া, মো. জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি, মো. শামসুল আলম চৌধুরী, ফজলে বারী মাসউদ ও শেখ শহিদুজ্জামান।
 
বর্তমান নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের কম হলে মেয়র প্রার্থীদের ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখের বেশি ভোটার হলে এক লাখ টাকা জামানত দিতে হয়। ডিএনসিসি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি হওয়ায় আইনে নির্ধারিত জামানতও এক লাখ টাকা।
 
এদিকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসি সংলাপে এসে নারী নেত্রী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা দাবি তুলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সবক্ষেত্রেই নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীর জামানতও কমাতে হবে। বর্তমানে যে জামানত আছে, অনেক প্রার্থীর পক্ষেই এ জামানত দেওয়া কষ্টসাধ্য। জামানত ছাড়াও যে নির্বাচনী ব্যয় দাঁড়ায়, তা একজন সাধারণ প্রার্থীর পক্ষে বহন করা দুঃসাধ্য।
 
গত ১ ডিসেম্বর ডিএনসিসি’র সাবেক মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন এ সিটিতে ভোটের আয়োজন করেছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ