বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এমন তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায়ের মূলকপি এখনো পাইনি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কমিশনের ১৭তম সভায় হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালের পর থেকে যারা ভোটার হয়েছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি, তাদের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রামে গ্রামে জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে প্রবাসীদেরও ভোটার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে আন্তর্জাতিক সেমিনারের মাধ্যমে সুপারিশ গ্রহণ করে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এনআইডি সার্ভারকে আরো আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করবো বলেও জানান তিনি।
গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, আর ভোট ছিলো ২৬ ফেব্রুয়ারি।
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ভাটারা থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) শুনানি শেষে আদালত আগামী তিন মাসের জন্য ওই তফসিলের ওপর সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে এর জবাব দিতে হবে।
এখনও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কি আড়াই বছর না পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে ওই রিট আবেদনটি করা হয়।
আদালত ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের রায় দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন ভোটের সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রায়ের কপি দেখেই পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে ২০১২ সালেও আইনি জটিলতার কারণে একবার ডিসিসি নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন আদালত। ওই বছর ৯ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করে ২৪ মে ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছিলেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। কিন্তু সীমানা জটিলতা নিয়ে রিট আবেদনের কারণে এ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এরপর তিন বছর প্রশাসক দিয়েই কাজ চালায় সরকার। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ হয় দীর্ঘ ১৩ বছর পর।
২০১৫ সালের আগে একীভূত ডিসিসি’র নির্বাচন হয়েছিলে ২০০২ সালে ২৫ এপ্রিল। নির্বাচিত কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের মে মাসে। সে হিসেবে মেয়ার অতিবাহিত হওয়ার ৮ বছর পর নগরপিতা নির্বাচনের সুযোগ পান ঢাকা সিটিবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/এসএইচ/