গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। এতে দেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ৭৬টি দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করে।
নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেতে হলে গণপ্রতিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ অনুযায়ী নতুন দলগুলোকে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে- অতীতে যে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্নিষ্ট দলের অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকতে হবে এবং দলটির অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আসনগুলোর মোট ভোটের পাঁচ শতাংশ ভোট পেতে হবে, অথবা নিবন্ধন পেতে হলে দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমিটি ও কার্যালয় থাকবে হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিটে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন আছে বলে প্রমাণ থাকতে হবে।
২০১৩ সালে যেসব দল আবেদন করেছিল তাদের ক্ষেত্রে আরপিও এর শর্তগুলো ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারাই যাচাই করে দেখতেন। তারপর ইতিবাচক প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হতো। কিন্তু এবার ইসি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাকেও কাজে লাগানো হবে। এক্ষেত্রে তারা শুধু মাঠ পর্যায়ে দলটির কার্যালয়ই খতিয়ে দেখবে না, দলের কার্যক্রম রাষ্ট্রবিরোধী কি না তাও খতিয়ে দেখবে।
এ বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ৭৬টি দলের আবেদন আমরা পেয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন নিয়ে তা কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। এরপর যোগ্যদের নিবন্ধন সনদ দেবে নির্বাচন কমিশন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নিবন্ধন পেয়েছিল। সে সময় ৪৩টি দল আবেদন করেছিল।
এ বছর যেসব দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে- জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ আলোকিত পার্টি, বাংলাদেশ সমাধান ঐক্য পার্টি (বসবাস), বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী গ্রুপ), বাংলাদেশ মঙ্গল পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিপিডিপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল (বিডিপি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল), বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক গাজী, বাংলাদেশ জালালী পার্টি, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি, ইনসানিয়া বিপ্লব, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ সমাজ উন্নয়ন পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ নিউ সংসদ লীগ, বাংলাদেশ পরিবহন লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), নাকফুল বাংলাদেশ, তৃণমূল ন্যাশনাল পার্টি, বাংলাদেশ সত্যব্রত আন্দোলন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন, সোনার বাংলা উন্নয়ন লীগ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সমাজ উন্নয়ন পার্টি, ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি, গণতান্ত্রিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী), বাংলাদেশ ঘুষ নির্মূল পার্টি ও বাংলাদেশ গণশক্তি দল।
এছাড়া বাংলাদেশ সততা দল, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টি, বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস-বিজেসি, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (এএসপি), বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি, সুশীল সামাজিক আন্দোলন, লিবারেল পার্টি, বাংলাদেশ রামকৃষ্ণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জাতীয় পরিবার কল্যাণ পার্টি (জেপিকেপি), নতুন ধারা বাংলাদেশ (এনডিবি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, সাধারণ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস, ঐক্য ন্যাপ, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিজম ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ শান্তির দল, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি, জনস্বার্থে বাংলাদেশ, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, নাগরিক ঐক্য, মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (বিডিএম), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টিও (ভাসানী ন্যাপ) নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে।
নির্বাচন কমিশনে বর্তমানে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪০টি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
ইইউডি/এসআই